What is asthma? Symptoms and Remedies
What is asthma? Symptoms and Remedies All Details
Many of us suffer from asthma for a long time. Today we will discuss this asthma disease in detail.
Asthma Symptoms and Remedies |
What to do if you have asthma?
'It seems that some people have a fever in the middle of the night / I hear some people's asthmatic breathing in the middle of the night'.
When I read the poem 'Gachpalagulo' by poet Purnendu Patri, when I am close to these two lines, it really sounds like someone's asthmatic breathing. The feeling of pain is a little more because he is a doctor himself. In fact, this living organism is alive on earth, laughing, crying - all this is the coming and going of that vital air, breathing. If there is a disturbance in that breathing, it is difficult to breathe in the chest, but how uncomfortable it is, I can understand very well. This breathing discomfort is called 'asthma'. In English it is called 'asthma'.
What is asthma?
Asthma is actually an inflammatory disease of the respiratory system. This disease is long term. Inflammation of the respiratory system causes the airways to swell. Then gradually symptoms like shortness of breath, cough, wheezing in the chest, pressure in the chest etc. started to appear. The name of the combined disease is asthma.
What causes asthma?
The cause of asthma cannot be determined. However, there are several factors that play a role in the development and persistence of asthma.
- This disease can be due to genetic or hereditary reasons. If someone in the family has this disease, then anyone in the next generation is at risk of being affected.
- Animal dander, pollen, pollen, fungi etc. are dangerous for asthma.
- Risk of asthma increases due to air pollution, cigarette smoke, various irritants from factories, smell of colors, cold air, spicy spices etc.
- Overuse of various painkillers, aspirin, heroin etc. can cause asthma.
- Stress, excessive emotionality can also increase the severity of asthma in many cases.
- This disease usually occurs in boys in childhood and in girls it is more common in adulthood.
- In some people, eating certain types of food, such as beef, shrimp, hilsa, brinjal, can increase the level of asthma.
Asthma symptoms
- Prolonged shortness of breath
- Increased shortness of breath during seasonal changes
- Feeling of pressure in the chest
- Cough or dry cough
- Sudden whistling sound in chest during breathing
- Suffocation
- Increased breathing difficulty when dust gets in the nose and mouth
Asthma testing
- Spirometry or peak flowmetry test: This is done to determine whether the patient has airway obstruction or not.
- Methacholine challenge test: This tests airway hypersensitivity.
- Blood tests: Blood and coffee eosinophils are checked for high serum IgE levels.
- Skin prick test: This test is done to test for allergens or triggers.
Treatment of asthma
- Salbutamol-like sedatives immediately dilate the airways and reduce airway obstruction.
- Antibiotics such as steroids, aminophylline, cromoglycate etc. are used.
- Inhaler is the most useful and modern method in the treatment of asthma. A very small amount of medicine is used to get good results. There are not many side effects.
- Use of nebulizer is also very effective in treating asthma. This method is applied when the level of asthma is severe. However, it is important to keep the nebulizer properly sterilized.
- Intravenous steroid injections are often given to prevent asthma attacks.
Inhalers in the treatment of asthma
Among the few types of inhalers that are still available in our country, the most affordable and widely used inhaler is the MDI or metered dose inhaler. Here, small particles (1-5 micrometers) of liquid medicine can be applied to the lungs in the form of an aerosol.
Techniques for applying MDI
The steps for using a metered dose inhaler are as follows.
- Open the mouthpiece lid of the inhaler.
- Lift your chin and look straight ahead.
- Exhale slowly and let all the air out of the chest.
- Now place the mouthpiece of the inhaler between the teeth and press it with your lips so that there is no gap.
- Now inhale slowly and draw the aerosol into the lungs by pressing firmly on the canister.
- When the breath is full, remove the inhaler from the mouth and hold the breath for 5-10 seconds, so that the medicine accumulates in the airways of the lungs.
- Now take normal breath. In this way the patient takes a puff or pull of medicine.
- If 2 puffs are to be taken, repeat the process after at least 30 seconds. Then close the mouthpiece with the inhaler cap.
- After using the steroid inhaler, rinse your mouth with water and discard the water. Do not swallow the water. This will clear the medicine accumulated in the mouth. The risk of side effects will be reduced.
Expiration of the inhaler
- MDI is valid for two years after manufacture. Not effective for more than six months after initial use. Keep away from excessive and direct sunlight. Room temperature should be kept at 20-25 degrees Celsius.
- Without a MDI dose count, there is no way to know when the inhaler is empty. In this case, how much dose was in the inhaler and how many days should be left, should be kept in this way.
Know about asthma
- Shortness of breath does not mean asthma. Heart disease, anemia etc. can also cause shortness of breath. Asthma is not a contagious disease.
- About 24 million people in the world are suffering from asthma. Of these, about 350,000 people die every year due to asthma. 80 percent of people who die from asthma are from third world countries.
Author: Vice-Chancellor (Education),
Bangabandhu Sheikh Mujib Medical University, Dhaka
Translate To Bangla
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা হাঁপানি নামক রোগে দীর্ঘ দিন ভুগে থাকেন। আজকে আমরা এই হাঁপানি রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
হাঁপানি হলে কি করবেন ?
‘মনে হয় মাঝ রাতে ঘুসঘুসে জ্বর হয় কারো কারো/কারো কারো হাঁপানির শ্বাসকষ্ট শুনতে পাই মাঝরাতে’।
কবি পূর্ণেন্দু পত্রীর ‘গাছপালাগুলো’ কবিতাটি পড়তে পড়তে যখন এ লাইন দুটির কাছাকাছি হই, তখন সত্যিই যেন কারও হাঁপানির শ্বাসকষ্ট কানে বাজে। নিজে চিকিৎসক বলেই কিনা বেদনাবোধটা একটু বেশি। আসলে এই যে প্রাণচঞ্চল প্রাণিদেহ পৃথিবীতে বেঁচে আছে, হাসছে, কাঁদছে—এর সবই তো ওই প্রাণবায়ুর আসা-যাওয়া, শ্বাসপ্রশ্বাস। সেই শ্বাসপ্রশ্বাসে যদি ব্যাঘাত ঘটে, বুকভরে শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়, তবে তা যে কতটা অস্বস্তির, খুব ভালো করেই বুঝতে পারি। শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত এ অস্বস্তির নামই ‘হাঁপানি’। ইংরেজিতে একে বলা হয় ‘অ্যাজমা’।
হাঁপানি কী?
হাঁপানি বস্তুত শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত একটি রোগ। এ রোগ দীর্ঘমেয়াদি। শ্বাসতন্ত্রে প্রদাহ হলে শ্বাসনালি ফুলে যায়। এরপর ধীরে ধীরে শ্বাসকষ্ট, কাশি, বুকের মধ্যে শোঁ শোঁ শব্দ, বুকে চাপ ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে থাকে। এসবের সমন্বিত রোগটির নামই হাঁপানি।
হাঁপানির রোগের কারণ
হাঁপানি রোগের কারণ সুনির্দিষ্ট করে বলা যায় না। তবে অনেক গুলো বিষয় রয়েছে, যেগুলো হাঁপানি রোগের উৎপত্তি ও স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
- হাঁপানি রোগ জেনেটিক বা বংশগত কারণে হতে পারে। বংশে কারও এ রোগ থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের যে কারও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
- পশুর লোম, আরশোলা, রেণু, ছত্রাক প্রভৃতি হাঁপানির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
- বায়ুদূষণ, সিগারেটের ধোঁয়া, কারখানার বিভিন্ন উত্তেজক পদার্থ, রঙের ঝাঁজালো গন্ধ, ঠান্ডা হাওয়া, ঝাঁজালো মসলা প্রভৃতির কারণে হাঁপানির আশঙ্কা বেড়ে যায়।
- বিভিন্ন ব্যথানাশক ওষুধ, অ্যাসপিরিন, হেরোইন প্রভৃতির অতি ব্যবহারের কারণে হাঁপানি হতে পারে।
- মানসিক চাপ, অতিরিক্ত আবেগপ্রবণতাও অনেক ক্ষেত্রে হাঁপানির তীব্রতা বাড়াতে পারে।
- সাধারণত শিশু বয়সে ছেলেদের এ রোগ হয় এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক হলে এ রোগ বেশি হয়।
- কারও কারও ক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের খাবার, যেমন গরুর মাংস, চিংড়ি, ইলিশ, বেগুন—এসব খেলে হাঁপানির মাত্রা বাড়তে পারে।
হাঁপানি রোগের লক্ষণ
- দীর্ঘ মেয়াদি শ্বাসকষ্ট
- ঋতু পরিবর্তনের সময় শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়া
- বুকে চাপ অনুভূত হওয়া
- কাশি বা শুকনা কাশি
- শ্বাসপ্রশ্বাসের সময় বুকে বাঁশির মতো হঠাৎ সাঁ সাঁ শব্দ
- দম বন্ধ লাগা
- নাকে-মুখে ধুলাবালু গেলে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়া
হাঁপানি রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা
- স্পাইরোমেট্রি বা পিক ফ্লো মেট্রি পরীক্ষাঃ রোগীর শ্বাসনালিতে শ্বাস গ্রহণে বাধা আছে কি না, তা নির্ণয়ের জন্য এটি করা হয়
- মেথাকলিন চ্যালেঞ্জ পরীক্ষাঃ এর মাধ্যমে শ্বাসনালির অতি সংবেদনশীলতা পরীক্ষা করা হয়।
- রক্ত পরীক্ষাঃ রক্ত ও কফে ইয়োসিনোফিল সিরাম আইজিইয়ের মাত্রা বেশি আছে কি না, তা নির্ণয় করা হয়।
- স্কিন প্রিক টেস্টঃ অ্যালার্জেন বা ট্রিগার পরীক্ষার জন্য এ টেস্ট করা হয়।
হাঁপানি রোগের চিকিৎসা
- সালবিউটামল-জাতীয় উপশমকারী ওষুধ তাৎক্ষণিকভাবে শ্বাসনালির ছিদ্রপথ প্রসারিত করে এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের বাধা কমিয়ে দেয়।
- স্টেরয়েড, অ্যামাইনোফাইলিন, ক্রোমগ্লাইকেট ইত্যাদি প্রতিরোধক ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
- হাঁপানির চিকিৎসায় ইনহেলার সবচেয়ে উপকারী এবং আধুনিক পদ্ধতি। এতে খুব অল্প মাত্রার ওষুধ প্রয়োগ করেই ভালো ফল পাওয়া যায়। খুব একটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হয় না।
- হাঁপানির চিকিৎসায় নেবুলাইজারের ব্যবহারও বেশ ফলপ্রসূ। হাঁপানির মাত্রা তীব্র হলে এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। তবে নেবুলাইজার যথাযথভাবে জীবাণুমুক্ত রাখা জরুরি।
- হাঁপানির আক্রমণ ঠেকাতে অনেক সময় শিরায় স্টেরয়েডের ইনজেকশন দেওয়া হয়।
হাঁপানির চিকিৎসায় ইনহেলার
আমাদের দেশে এখনো যে কয়েক ধরনের ইনহেলার পাওয়া যায়, তার মধ্যে সবচেয়ে সুলভ ও বহুল ব্যবহৃত ইনহেলারটি হচ্ছে এমডিআই বা মিটার্ড ডোজ ইনহেলার। এখানে ওষুধের তরল ক্ষুদ্র কণা (১-৫ মাইক্রোমিটার) অ্যারোসল আকারে ফুসফুসে প্রয়োগ করা যায়।
এমডিআই প্রয়োগের কৌশল
মিটার্ড ডোজ ইনহেলার প্রয়োগের ধাপগুলো নিচের মতো।
- ইনহেলারের মাউথপিসের ঢাকনা খুলুন।
- চিবুক উঠিয়ে সোজা সামনের দিকে তাকান।
- ধীরে শ্বাস ত্যাগ করুন এবং বুকের সব বাতাস বের করে দিন।
- এবার ইনহেলারের মাউথপিসটি দাঁতের ফাঁকে রেখে ঠোঁট দিয়ে চেপে ধরুন, যেন ফাঁক না থাকে।
- এবার ধীরে ধীরে নিশ্বাস নিতে থাকুন এবং ক্যানিস্টারে দৃঢ়ভাবে চাপ দিয়ে অ্যারোসল ফুসফুসে টেনে নিন।
- নিশ্বাসে বুক ভরে গেলে ইনহেলার মুখ থেকে সরিয়ে ফেলুন এবং ৫-১০ সেকেন্ড শ্বাস বন্ধ করে রাখুন, যেন ওষুধ ফুসফুসের শ্বাসনালিতে জমা হয়।
- এবার স্বাভাবিক শ্বাস নিন। এভাবে রোগীর এক পাফ বা টান ওষুধ নেওয়া হয়।
- যদি ২ পাফ নিতে হয়, তবে অন্তত ৩০ সেকেন্ড পর প্রক্রিয়াটি পুনরায় করুন। তারপর ইনহেলারের ঢাকনাটি দিয়ে মাউথপিসটি বন্ধ করে রাখুন।
- স্টেরয়েড ইনহেলার ব্যবহারের পর মুখে পানি নিয়ে কুলকুচা করে পানি ফেলে দিন। পানি গেলা যাবে না। এতে মুখে জমে থাকা ওষুধ পরিষ্কার হয়ে যাবে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কা কমে যাবে।
ইনহেলারের মেয়াদ
- এমডিআই উৎপাদনের পর দুই বছর পর্যন্ত কার্যকর থাকে। ব্যবহার শুরু করে দিলে ছয় মাসের বেশি কার্যকর থাকে না। অতিরিক্ত ও সরাসরি সূর্যরশ্মি থেকে দূরে রাখতে হবে। ঘরের তাপমাত্রা ২০-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখতে হবে।
- এমডিআইয়ের ডোজ কাউন্ট ছাড়া ইনহেলার কখন খালি হয়, তা বোঝার উপায় নেই। এ ক্ষেত্রে ইনহেলারে কতটা ডোজ ছিল এবং কত দিন যাওয়া উচিত, এভাবে হিসাব রাখতে হবে।
হাঁপানি রোগ সম্পর্কে জেনে রাখুন
- শ্বাসকষ্ট মানেই হাঁপানি নয়। হৃদ্রোগ, রক্তশূন্যতা প্রভৃতি কারণেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। হাঁপানি কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়।
- পৃথিবীতে প্রায় ২৪ কোটি লোক হাঁপানিতে আক্রান্ত। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ প্রতি বছর হাঁপানির কারণে মারা যায়। হাঁপানিতে মারা যাওয়া মানুষের ৮০ শতাংশই তৃতীয় বিশ্বের অধিবাসী।
লেখকঃ সহ–উপাচার্য (শিক্ষা),
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা