ঢেঁড়স চাষের পদ্ধতি জেনে নিন। Learn how to cultivate potato
Learn how to cultivate potato
ঢেঁড়স চাষের পদ্ধতি জেনে নিন
ঢেঁড়স চাষ পদ্ধতি |
ঢেঁড়স এদেশের একটি জনপ্রিয় সবজি। এটি অত্যন্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজি, যা আজকাল প্রায়
সারা বছরই পাওয়া যায়। যদিও বর্ষাকালে এর উৎপাদন বেশি হয়। খাদ্যোপযোগী ১০০ গ্রাম
ঢেঁড়সে যেসব পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা হলো ক্যারোটিন ১৬৭০ মাইক্রোগ্রাম, ক্যালসিয়াম
১১৬ মি: গ্রা:, শর্করা ৮.৭ এমি, আমিষ ১.৮ গ্রাম, স্নেহ ০.১ গ্রাম, লৌহ ১.৫ মি:
গ্রা:, ভিটামিন বি ০.২০ মি: গ্রা:, ভিটামিন সি ১০ মি: গ্রা:, খাদ্য শক্তি ৪৩
কিলোক্যালরি। ঢেঁড়সে রয়েছে প্রচুর ক্যারোটিন ও ক্যালসিয়াম। এই ক্যারোটিন আমাদের
অন্ত্রে গিয়ে ভিটামিন-‘এ’ তৈরি করে। এছাড়া ঢেঁড়সে বিভিন্ন খনিজ পদার্থ রয়েছে।
ঢেঁড়শ নিয়মিত খেলে গলাফোলা রোগ হবার সম্ভাবনা থাকে না এবং এটা হজম শক্তি
বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।
সারা বছরই পাওয়া যায়। যদিও বর্ষাকালে এর উৎপাদন বেশি হয়। খাদ্যোপযোগী ১০০ গ্রাম
ঢেঁড়সে যেসব পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা হলো ক্যারোটিন ১৬৭০ মাইক্রোগ্রাম, ক্যালসিয়াম
১১৬ মি: গ্রা:, শর্করা ৮.৭ এমি, আমিষ ১.৮ গ্রাম, স্নেহ ০.১ গ্রাম, লৌহ ১.৫ মি:
গ্রা:, ভিটামিন বি ০.২০ মি: গ্রা:, ভিটামিন সি ১০ মি: গ্রা:, খাদ্য শক্তি ৪৩
কিলোক্যালরি। ঢেঁড়সে রয়েছে প্রচুর ক্যারোটিন ও ক্যালসিয়াম। এই ক্যারোটিন আমাদের
অন্ত্রে গিয়ে ভিটামিন-‘এ’ তৈরি করে। এছাড়া ঢেঁড়সে বিভিন্ন খনিজ পদার্থ রয়েছে।
ঢেঁড়শ নিয়মিত খেলে গলাফোলা রোগ হবার সম্ভাবনা থাকে না এবং এটা হজম শক্তি
বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।
ঢেঁড়স চাষে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
1. ঢেঁড়স চাষের জন্য মাটি নির্বাচন
2. ঢেঁড়স চাষের জন্য জাত নির্বাচন
3. ঢেঁড়স চাষের সময়
4. ঢেঁড়স চাষের জন্য বীজের পরিমাণ নির্বাচন
5. ঢেঁড়স এর বীজ বপন পদ্ধতি
6. ঢেঁড়স চাষের জন্য সারের পরিমাণ
7. ঢেঁড়স চাষে সার প্রয়োগের নিয়ম
8. ঢেঁড়স চাষের জন্য সঠিক পরিচর্যা
9. ঢেঁড়স এর ক্ষতিকর পোকামাকড়
10. ঢেঁড়স গাছের এর রোগ ও
11. ঢেঁড়স সংগ্রহের সময়
ঢেঁড়স চাষের জন্য মাটি নির্বাচন
সাধারণত দোআশ ও বেলে দোআশ ঢেঁড়শ চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। পানি নিষ্কাশনের
সুবিধা থাকলে এটেল মাটিতেও চাষ করা যায়
ঢেঁড়স চাষের জন্য জাত নির্বাচন
শাউনি,পারবনি কানি-, বারী ঢেঁড়শ, পুশা সাওয়ানী, পেন্টা গ্রীন, কাবুলী ডোয়ার্ফ,
জাপানী প্যাসিফিক গ্রীন এসব ঢেঁড়শের চাষ উপযোগী জাত। শেষের দুটো জাত সারা বৎসর
ব্যাপী চাষ করা চলে।
ঢেঁড়স চাষের সময়
সারা বছরই চাষ করা যায়। তবে সাধারণত গ্রীষ্মকালে এর চাষ করা হয়। ফাল্গুন চৈত্র ও
আশ্বিন-কার্তিক মাস বীজ বোনার উপযুক্ত সময়।
ঢেঁড়স চাষের জন্য বীজের পরিমাণ নির্বাচন
প্রতি শতকে ২০ গ্রাম, হেক্টর প্রতি ৪- ৫ কেজি বীজ লাগে।
ঢেঁড়স এর বীজ বপন পদ্ধতি
বীজ বোনার আগে ২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে নিতে হয়। গভীরভাবে চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে
চাষের জমি তৈরি করতে হয়। মাটি থেকে সারির দুরত্ব হবে ৭৫ সেমি.। বীজ সারিতে ৪৫
সেমি. দূরে দূরে ২-৩ টি করে বীজ বুনতে হয়। জাত অনুযায়ী চারা থেকে চারা এবং সারি
থেকে সারির দুরত্ব ১৫ সেমি. কমানো বা বাড়ানো যেতে পারে। শীতকালে গাছ ছোট হয় বলে
দূরত্ব কমানো যেতে পারে। চারা গজানোর পর প্রতি গর্তে একটি করে সুস্থ সবল চারা
রেখে বাকী চারা গর্ত থেকে উঠিয়ে ফেলতে হবে।
ঢেঁড়স চাষের জন্য সারের পরিমাণ
ঢেঁড়স চাষের জন্য সারের পরিমাণ
সার | এক শতকে | হেক্টর প্রতি |
---|---|---|
গোবর | ৭৫ কেজি | ১৮ টন |
সরিষার খৈল | ১.৭৫ কেজি | ৪২৫ কেজি |
ইউরিয়া | ২৩০ গ্রাম গ্রাম | ৫৫-৬০ কেজি |
টিএসপি | ৩৫০ গ্রাম গ্রাম | ৮৫-৯০ কেজি |
এমও পি | ২৩০ গ্রাম গ্রাম | ৫৫-৬০ কেজি |
ঢেঁড়স চাষে সার প্রয়োগের নিয়ম
জমি তৈরি করার সময় ইউরিয়া সার বাদে বাকি সব সার মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে
হবে। সার মেশানের ১০-১৫ দিন পর জমিতে ঢেঁড়শ বীজ বপন করতে হয়। ইউরিয়া সার সমান
দু‘ভাগে উপরিভাগে প্রয়োগ করতে হয়। প্রথম ভাগে চারা গজানোর ২০-২৫ দিন পর এবং ২ য়
ভাগে দিতে হবে চারা গজানোর ৪০-৫০ দিন পর।
ঢেঁড়স চাষের জন্য সঠিক পরিচর্যা
নিড়ানী দিয়ে মাটির উপরিভাগ মাঝে মাঝে আলগা করে দিতে হবে। জমি সব সময় আগাছা মুক্ত
রাখতে হবে। মাটির প্রকার ভেদ অনুযায়ী ১০/১২ দিন পর পর সেচ দেয়া প্রয়োজন। প্রতি
কিস্তিতে সার প্রয়োগের পর জমিতে সেচ দিতে হবে।
ঢেঁড়স এর ক্ষতিকর পোকামাকড়
ঢেঁড়শের ফল ছিদ্রকারী পোকাই সবচে বেশি ক্ষতি করে। এ ছাড়া জাব পোকা, সাদা মাছি,
ছাতরা পোকা, লাল গান্ধি ইত্যাদিও ক্ষতি করে।
ঢেঁড়স গাছের এর রোগ
হলদে শিরা স্বচ্ছতা ঢেঁড়শের প্রধান ক্ষতিকর রোগ। এ ছাড়া মোজেইক ও পাতায় দাগ রোগও
দেখা যায়।
ঢেঁড়স সংগ্রহের সময়
বীজ বোনার ৬-৮ সপ্তাহের মধ্যে এবং ফুল ফোটার ৩-৫ দিনের মধ্যে ফল আসা শুরু
হয়। জাত ভেদে ফল ৮-১০ সেমি. লম্বা হলেই সংগ্রহ করতে হয়।