গর্ভকালীন অবস্থায় যে খাবার গুলো খাওয়া নিষিদ্ধ ও কারণ| Disadvantages Pregnancy Food

 

গর্ভকালীন অবস্থায় যে খাবার গুলো নিষিদ্ধ ও না খাওয়ার কারণ


আজকে আমরা আপনাদেরকে জানাতে চাই যে, গর্ভকালীন অবস্থায় যে সকল খাবার গুলো একেবারেই খাবেন না এবং এই খাবার গুলো না খাওয়ার কারণ।
নিচে নিষিদ্ধ কিছু খাবার না খাওয়ার কারণ উল্লেখ করা হল।


আনারসঃ

প্রেগন্যান্সি তে আনারস খাওয়া যাবে না এ কথা শুনে নি এমন মানুষ পাওয়া দুস্কর, আনারস খেলে গর্ভপাত হয়ে যাবে এমন তথ্যের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই, তবে আনারসে থাকা ব্রোমলিন হতে পারে কারো কারো জন্য অসুবিধার কারণ। ব্রোমলিন একধরনের এনজাইম যা প্রোটিন ভাঙতে পারে এবং অস্বাভাবিক রক্তপাত করতে পারে। কিন্তু সুখবর হলো বেশির ভাগ ব্রোমলিন আনারসের ভিতরের অংশে থাকে এবং মাংসল অংশে কম থাকে। পরিমানে বেশি গ্রহণ করলে বুক জ্বালাপোড়া, পেট ফাপ দেওয়া সহ ডায়রিয়াও হতে পারে। তবে আপনার যদি এলার্জি, প্রেগন্যান্সি কমপ্লিকেশন এবং মানসিক ভাবে আনারস খেতে সমস্যা না থাকে সপ্তাহে একদিন আপনি ১ কাপ পরিমান আনারস গ্রহণ করতে পারেন।

পেঁপেঃ

প্রেগন্যান্সি তে পেঁপে খাবো নাকি খাবো না? উত্তর হলো হ্যাঁ এবং না। এমন কনফিউসড উওত্তর এর কারণ হলো আপনি কাঁচা পেঁপে না খেতে পারলেও পাকা পেঁপে খেতে পারবেন। পাকা পেঁপে ভিটামিন এ বি সি, বিটা ক্যারোটিন, ফোলেটের ভালো উৎস কিন্তু কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে ল্যাটেক্স এবং পাপাইন যা জলদি প্রসব এবং ডায়রিয়ার মত ঘটনা ঘটায়। এছাড়াও কাঁচা পেঁপে এলার্জির কারণও হতে পারে। অনেকেই সংধরনের পেঁপে খাওয়া বন্ধ করে দেন এ সময়। একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন পেঁপের বদলে এর গুনাগুন সম্পূর্ণ কোন খাবারটি আপনি নিশ্চিন্তে খেতে পারবেন।

ভিটামিন এঃ

গর্ভাবস্থায় ভিটামিন এ খেতে অনেকেই নিষেধ করে থাকেন আপনাকে কিন্তু শিশুর বিকাশের জন্য ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনোভাবেই গ্রহণ করা যাবে না। চাহিদার অতিরিক্ত গ্রহণ করলে লিভার টক্সিসিটি বা শিশু প্রসবে সমস্যা হয়ে থাকে। একজন ১৮ বছরের কম বয়সী মায়ের ৭৫০ মাইক্রোগ্রাম এবং ১৯ বছরের বেশি বয়সী মায়ের ৭৭০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন এ প্রতিদিন গ্রহণ করা প্রয়োজন। কোন কোন খাবার কত পরিমানে খেলে এই চাহিদা পূরণ করা সম্বভ এবং প্রয়োজনের বেশি হবে না তা একজন পুষ্টিবিদ আপনাকে নির্ধারণ করে দিবেন।


কাঁচা খাবারঃ

গর্ভবস্থায় কাঁচা খাবার কোনো ভাবেই গ্রহণ করা যাবে না। কাঁচা সবজি, দুধ বা কাঁচা ডিম খুব সহজেই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে। সবজি খুব ভালো ভাবে ধুয়ে রান্না করতে হবে, দুধ নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় জ্বাল দিয়ে গ্রহন করতে হবে একইসাথে ডিম, মাছ মাংস ভালোভাবে সিদ্ধ ও রান্না করে খেতে হবে।

কফিঃ

কফি বা চা পছন্দ করেন না এমন মানুষের সংখ্যা অনেক কম। কিন্তু গর্ভবস্থায় আপনাকে তা লিমিট গ্রহণ করতে হবে। প্রেগন্যান্সিতে প্রতিদিন ২০০ মিলিগ্রামের বেশি ক্যাফেইন গ্রহণ করা যাবে না। অর্থাৎ চা পান করলে তা ২৪০ মিলি কাপে ১ কাপ হতে হবে এবং কফি হলে তা ২৪০মিলি ২ কাপের বেশি গ্রহণ করা যাবে না।

অ্যাসপিরিনঃ

জ্বর-ঠাণ্ডা ও ব্যথার ওষুধ হিসেবে 'অ্যাসপিরিন' ধরনের ওষুধ বহুল ব্যবহৃত। তবে এটা গর্ভধারণের প্রথম কয়েক সপ্তাহ গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায় বলে দাবি করেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও 'প্লাসেন্টা অ্যাবরাপশন'য়ের কারণ হতে পারে অ্যাসপিরিন।গর্ভের সন্তানের বেড়ে ওঠার ওপরেও এই ওষুধের ক্ষতিকর প্রভাব আছে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গর্ভাবস্থায় 'অ্যাসপিরিন' সেবন করা যাবে না
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
close