সৌদি আরব ভিসা ও আকামা খরচ বিস্তারিত Saudi Arabia Visa and Akama Cost Details
সৌদি আরব ভিসা ও আকামা খরচ বিস্তারিতSaudi Arabia Visa and Akama Cost Details
আমরা অনেকেই জানিনা আমেল আইদি কি? আমেল আইদি দিয়ে কি কি কাজ করা যাবে? আমেল আইদি এর মানে কি?
এবং আমেল আইডি ভিসার লাভ-ক্ষতি কি? এখন আমরা এই আমেল আইদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানব
আমেল আইদি যাদের প্রয়োজন যারা সৌদি আরবের ভিতরে ভিসা পরিবর্তন করাবেন ও মেহানা পরিবর্তন করাবেন তাদের এই বিষয়গুলো জানা খুবই গুরুত্বপূর্ন।
আমেল আইদি কি?
আমেল আইদি শব্দের অর্থ হল সাধারণ কর্মী বা জেনারেল ওয়ার্কার আমেল আইদির সাথে কিন্তু কোন পেশা উল্লেখ নাই মেন ধরুন একজন ক্লিনার সে পয়পরিষ্কারের কাজের জন্য এসেছে তাহলে তার পেশা টি হবে আমেল নাদাফা।
কারন সে একজন নির্দিষ্ট পেশার লোক, একটা নির্দিষ্ট পেশাতে কাজ করার জন্য এসেছে। নিয়ম অনুযায়ী সে যে পেশাতে কাজ করার জন্য এসেছে সে পেশাতেই কাজ করা লাগবে।
এখন সে যদি এই পেশায় কাজ না করে অন্য পেশায় কাজ করে তবে সে ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা মনিটরিং হয় তবে সে সমস্যার মধ্যে পড়তে পারে।
কারন পেশাটি উল্লেখ আছে পরিস্কার করার জন্য বা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কর্মী।
আমেল আইদি মানে নির্দিষ্ট পেশার না মানে যে কোন পেশায় কাজ করার অধিকার রাখে কিন্তু এখানে অনেক গুলো নিয়ম আছে ফ্রি ভিসা সৌদি আরবে নিসিদ্ধ
অনেকেই ফ্রি ভিসা তে এসে ফেঁসে যাচ্ছে।
একটু সময় নিয়ে পড়ুন আশা করি সব বুঝতে পারবেন এবং বিপদ থেকে মুক্তি ও পেতে পারেন
পেশা নির্ধারণ হয় কম্পানি বা মালিকের ওপরে, সে কিসের জন্য লাইসেন্স করতে যাচ্ছে
উদাহরণ স্বরুপ বলা যায় আপনার মালিক একটা চায়ের দোকান খুলবে তাহলে চায়ের দোকানের জন্য মেকানিকের দরকার নাই, মেকানিক দরকার হয় ওয়ার্কশপে।
এখন ওয়ার্কশপে বিভিন্ন ক্যাটাগরীর লোক লাগবে এইগুলো সব ওয়ার্কশপ সম্পর্কিত কাজ, কেউ যদি বিদেশে যায় তবে উল্লেখ থাকতে হবে যে সে কোন ভিসায় যাচ্ছে।
যেমন চা তৈরী করার জন্য ১ জন লোক লাগবে, বাবুর্চি লাগবে ১ জন, বার্গার তৈরী করার জন্য ১ জন লোক লাগবে, পরোটা তৈরী করার জন্য ১ জন লোক লাগবে ইত্যাদি।
একেকটা কাজের জন্য আলাদা আলাদা ভিসা লাগে। এখন মালিক যেই কাজের জন্য ভিসা দিবে সেই কাজে কেউ আগ্রহী হলে সেই ভিসা নিতে হবে এবং উক্ত ভিসার সাথে ট্রেড যুক্ত করার পর বিদেশে যেতে পারবে।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
সৌদি আরবের আকামা খরচঃ
প্রত্যেক কম্পানি ও ইন্ডাষ্ট্রি এর জন্য সৌদি সরকার ভর্তুকি দিয়ে থাকে। কম্পানি গুলো যদি সচল থাকে তবে সৌদি আরবের অর্থনীতি সচল থাকবে।
তার জন্য কম্পানির আলাদা হিসেব। মধ্যবিত্ত কম্পানি বা ওয়ার্কশপ বা চায়ের দোকান কিংবা বড় প্রতিষ্ঠান তাদের আকামার খরচ কিন্তু সবচেয়ে বেশি আসে।
কারন এরা এদের প্রতিষ্ঠান থেকে আয় করে, একটা ওয়ার্কশপ থেকে মাসে ১০-১৫ হাজার টাকা সব কিছুর খরচ বাদ দিয়ে লাভ করা সম্ভব মালিকের পক্ষে।
কিছু কিছু ওয়ার্কশপ এর থেকে বেশিও আয় করে আবার কেউ কম আয় ও করে। এজন্য এইগুলোর জন্য মুক্তবালা আমেল কম্প্লিট আসে।
এখন আপনি কোন ভিসাতে আসবেন সেটার ওপর নির্ভর করে আপনার আকামার খরচ কত হবে। ছোট কাজেও আমেল আইদি থাকে, বড় কাজেও আমেল আইদি থাকে আবার কম্পানিতেও আমেল আইদি থাকে
কিন্তু কম্পানির আমেল আইদির খরচ কম হবে, ছোট কাজের আমেল আইদির খরচও কম হবে। কিন্তু মধ্যবিত্ত কম্পানির আকামা খরচ কম নাও আসতে পারে যদিও কম আসে না।
তো আপনার ভিসার খরচ নির্ভর করে বড়, মধ্যবিত্ত বা কম্পানির ওপরে।
ফ্রি ভিসা কি?
অনেকেই জানেনা আমেল আইদি ফ্রি ভিসা কিনা? মনে রাখুন আমেল আইদি ফ্রি ভিসা না। এটাও নির্দিষ্ট কম্পানির জন্য বের হয়েছে।
একটা কম্পানিতে সাধারণ কর্মী থাকতেই পারে এবং সে বিভিন্ন প্রকার কাজ করতেই পারে। তার জন্য একটা ভিসা বা দুইটা ভিসা আবেদন করেছে এই কয়টা ভিসা বের হয়েছে।
মনে করেন ওই দুইটা ভিসার মধ্যে আপনি একটা ভিসা নিয়েছেন। সৌদি আরবে গিয়ে যদি আপনি মনে করেন যে ফ্রি ভিসায় আছেন তাহলে আপনার ধারনাটি ভুল।
সৌদি আরবে ফ্রি ভিসা বলে কোন ভিসা নাই। আমরা যে ফ্রি ভিসা বলে থাকি এটা শুধু কথিত ফ্রি ভিসা, মৌখিক একটা চুক্তি।
মনে করেন কফিলের সাথে চুক্তি হচ্ছে যে ভাই আমি বাইরে কাজ করবো তোমাকে মাসে ৩০০ রিয়াল দিব এটা হল মৌখিক চুক্তি।
আমেল আইদি ভিসার করচও কম না, আপনি যদি আমেল আইদি ভিসাতে আসেন তাহলে খরচ আপনাকে বেশি গুনতে হবে।
যদি ছোট কম্পানিতে পড়েন তাহলে ভাল না পড়লে আপনাকে মুক্তবালা আমেলে রুস্তম পেমেন্ট করতে হবে এক্ষেত্রে বছরে খরচ পড়ে যাবে আকামার পেছনে ৯৬০০ রিয়াল।
যেটা অনেকের পক্ষে বহন করা সম্ভব হয় না বছর ঘুরতেই দেখা যায় যে সে অবৈধ হয়ে যায়।
আমেল আইদি পেশা থেকে অন্য পেশায় যাওয়া যায় কিনা বা আমেল আইদি দিয়ে যে কোন কাজ করা যায় কিনা?
যেহেতু আপনার কাজের কোনো ধরণ উল্লেখ করে দেয়নি তাই আপনি চাইলে যে কোন কাজ করতে পারবেন। তবে বৈধ নিয়মে চুক্তি করে।
তবে আপনার মালিকের আন্ডারে যে কোন কাজ করতে পারবেন কিন্তু বাইরে না।
আপনি যখন আপনার মালিকের প্রতিষ্ঠানেই কাজ করবেন সেখানে মুক্তবালা আমেল বা যাওয়াযাত অভিযান চালালেও আপনাকে জরিমানা এমনিতেও দিবে না।
বাহিরে কাজ করলে আপনি যে পেশার লোক হন সেখানে আপনাকে জরিমানা দেওয়ার বা আটক করার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
আশা করি সব কিছু বুঝতে পেরেছেন।